বিশেষ প্রতিবেদক :: যশোরের শার্শায় ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট নেতারা এলাকা ছাড়লেও বহাল তবিয়তে থেকে আওয়ামী নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করতে জোরালো তৎপরতা চালাচ্ছে উপজেলার পাঁচ ভুলোট গ্রামের মৃত আবু তাহের ঢালীর ছেলে আব্দুল মজিদ ঢালী।
একাজে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও অজানা এক হাইপ্রোফাইল নেতার আর্শীবাদ পেয়ে এলাকায় দাপটে ব্যবসা-বানিজ্য সাথে তুখোড় রাজনিতীও চালাচ্ছেন আওয়ামী নেতা মজিদ।
এলকাবাসী ও একাধিক রাজনৈতিক ব্যাক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে,ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে আওয়ামী রাজনিতীর সাথে যুক্ত থেকে মাছের ঘের, ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা ও ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিপুল পরিমান অর্থবিত্ত ও সম্পদের মালিক বনেগেছে এই মজিদ।
বেনাপোল পৌরসভা এলাকায় আব্দুল মজিদের বহুতল আলীশান ভবন ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় নামে বেনামে বহু সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা গেছে। ধুরন্ধর এই মজিদ আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের উল্লেখযোগ্য পদ-পদবীতে না জড়ালেও সে ফ্যাস্টিস্ট সরকারের একটি বড় মাপের ডোনার। তার কল কাঠিতে বিরোধী দলের অনেক নেতা হয়রানী পেয়েছেন বিগত দিনে।
বিগত ২১ সালে উপজেলার ১০৮ নং শিবনাথপুর মৌজায় আর এস ১৪৫ নং খতিয়ানের ২০৮ নং দাগে ১.৬৫শতক জমি মুজিব শতবর্ষে “মুজিব ছায়া প্রকল্পে দানপত্র করে দেয় মজিদ। এ ছাড়াও তৎসময়ে শার্শা আসনের এমপি আফিলের রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালানা কাজে সে নিয়মিত টাকা পাঠাতেন বলেই পদ ছাড়াই ইউনিয়ন ছাপিয়ে উপজেলাব্যাপী মজিদ আওয়ামীলীগের বড় নেতা বলে সমাদৃত। এলাকায় তার মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায় জড়িতের গুঞ্জন থাকলেও প্রশাসনের তালিকাভুক্ত অপরাধী বা তার নামে মামলা রয়েছে বলে জানা যাইনী।
অভিযোগ বিষয়ে আব্দুল মজিদের মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি নিজেকে সি এন্ড এফ ব্যাবসায়ী পরিচয় দিয়ে তার পৈত্রিক সম্পত্তি মুজিব ছায়া প্রকল্প ছাড়াও মসজিদ মাদ্রাসায় দান করেছেন বলে স্বীকার করেন। মাদক বা বে আইনী কোন কর্মকান্ডে তিনি জড়িত নন ও রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত নন বলে আরো জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুলোটের এক আওয়ামীলীগ কর্মী প্রতিবেদককে জানান, তাহারা মজিদের নেতৃত্বে সংগঠিত হতে গ্রুপ কলে উপজেলা আওয়ামীলীগের পলাতক নেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের ডাকে আসন্ন মার্চের কর্মসূচী সফল করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে আরো নিশ্চিত করেন।