স্টাফ রিপোর্টার :: যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আহসানুল কবীর তুহিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতির বিস্তর অভিযোগ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকেরা।
স্কুলে অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ হতে ইউনিক আইডি,নৈপুণ্য সফটওয়্যারে তথ্য এন্ট্রি, রেজিস্টেশন ও প্রশাসংশা পত্র উত্তোলনকালীন বিধি বর্হিভূত ভাবে টাকা গ্রহণ করে তা আত্নসাৎ করেছেন শিক্ষক তুহিন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে স্কুলটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তুহিনের নামে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
অভিযোগকারী খায়রুল ইসলাম জানান,২০২৩ সালে বিদ্যালয়টির ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের কাছ হতে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী রায়হান মারফত রশিদ বিহীন ইউনিক আইডি বাবদ ১৫০/-টাকা ও ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের কাছ হতে ৫০/-টাকা, ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বাবদ ১০০/-টাকা,৮ম শ্রেনীর শীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বাবদ ২০০/-টাকা এবং এস এসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্রশংসাপত্র দিতে ৩০০/-টাকা করে কৌশলে গ্রহণ করেন যার আনুমানিক হিসাব ২ লাখ ২৪ হাজার ৩শত টাকা। উত্তোলিত টাকা বিদ্যালয় তহবিলে জমা না করে নিজে আত্নসাৎ করেছেন।
বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খরচের ভূয়া বিল ভাউচার তৈরী করে তা দাখিল করে বিদ্যালয় তহবিলের টাকা আত্নসাৎ করে আসছেন বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক তুহিন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের নৈশ্যপ্রহরী,আয়া ও শিক্ষক নিয়োগে লাখ লাখ টাকার অর্থবানিজ্য করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তুহিন বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে।
অভিযোগের সত্যতা যাচায়ে অভিবাবক ও বিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সাথে কলা বললে সত্যতা পাওয়া যায়। ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সাথে প্রায়ই অশোভন আচরন করে থাকেন তিনি। অভিযোগ বিষয়ে মুঠোফোনে অভিযুক্ত শিক্ষক তুহিনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি প্রধিনিধিকে বলেন আমার নামে নিউজ করেন,নিউজ বের না হলে লোকে আমাকে কি ভাবে চিনবে।
সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকারের আমলে শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবীর উদ্দীন তোতার হাত ধরে সাবেক সংসদ সদস্য আফিল উদ্দিনের সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে ৮ লাখ টাকা তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটিকে উপঢৌকন দিয়ে ২০২২সালের জুলাই মাসে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে বেনাপোল মাধ্যামিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন তুহিন। এর আগে তিনি উপজেলার তবিবর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসাবে চাকুরি করতেন।
আওয়ামী ঘরোনার শিক্ষক হওয়ায় বেনাপোল হাইস্কুলের সাবেক সভাপতি মুকুল হাজির দোসর হয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ে সাধারন শিক্ষকদের জিম্মি বানিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অবৈধ্য পন্থায় হাতিয়েছেন লাখ লাখ টাকা যা সুষ্ঠ তদন্তে বেরীয়ে আসবে।
বিয়য়টি নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরীর সাথে কথা বললে তিনি জানান,অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।