
স্টাফ রিপোর্টার :: যশোরের মুজিব সড়কে অবস্থিত ডাঃ আব্দুর রউফ এর প্রতিষ্ঠান পঙ্গু হাসপাতাল যশোরে ভর্তি হওয়া রোগীর চিকিৎসায় অবহেলাসহ প্রতিষ্ঠানের নিজিস্ব ফার্মেসীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ সেলাইন বিক্রয়ের অভিযোগ মিলেছে।
সোমবার( ১৭ নভেম্বর ) সন্ধ্যায় হাসপাতালটির মডেল মেডিসিন সপ ( যাহার লাইসেন্স নং- যশোর,৩০১৩) হতে গ্লুকোলিন ১০০০এম এল এর একটি সেলাইন ক্রয় করলে ২০২৫ সালের ৭ মাসে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া সেলাইনের প্যাকেট দেওয়া হয়েছে বলে রোগীর মামা মোঃ সাগর অভিযোগ জানান।
এছাড়াও হাতের অপারেশন শেষে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী ৭/ ৮ বার বমি করলেও হাসপাতালে থাকা জরুরী ডাক্তার ও নার্স চিকিৎসা কাজে বিলম্বসহ চিকিৎসায় গুরুত্ব না দেওয়ায় রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে বলে জানা গেছে।বিষয়টি রোগীর স্বজনেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বারং বার বললেও রোগীর চিকিৎসা সেবায় তৎপরতা না দেখতে পাওয়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের দারস্থ হয়েছেন বলে তিনি আরো জানান।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে পঙ্গু হাসপাতাল যশোরের সহকারী ব্যবস্থাপক মোঃ ইকবাল হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি মেয়াদ উত্তীর্ণ সেলাইন বিক্রয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,মেডিসিন সপ তাৎক্ষনিক সার্চ করে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সরিয়ে ফেলাসহ ক্রেতাকে সেলাইন পাল্টে দেওয়া হয়েছে। রোগী চিকিৎসা সেবায় অবহেলা প্রশ্নে তিনি নিজে খোঁজ নিবেন বলে আরো জানান।
অভিযোগকারীর দেওয়া তথ্য মতে রবিবার ( ১৬ নভেম্বর ) দুপুরে হাত ভাঙ্গা অবস্থায় পঙ্গু হাসপাতাল যশোরে ভর্তি হন শার্শা উপজেলার পুটখালী ইউনিয়নের পুটখালী উত্তরপাড়া গ্রামের লিটন সর্দ্দারের ছেলে মোঃ লিখন ( ১৬)। রাতেই হাতের অপারেশন শেষে হাসপাতালের ভাড়া নেওয়া ক্যাবিনে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।
সোমবার সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭/৮ বার বমি করে লিখন। এ সময় তার সাথে থাকা চাচী ও খালা বারং বার হাসপাতালে থাকা ডাক্তার ও নার্স ডাকলে তাহারা বিলম্বসহ বিরক্তি প্রকাশ করে। নিরুপায় হয়ে লিখনের চাচী অভিযোগকারীকে ফোন করে বিস্তারিত জানান।
বিকালে সাগর হাসপাতালের ক্যাবিনে গেলে কর্তব্যরত নার্স তাকে দ্রুত সেলাইন নিয়ে আসতে বললে সাগর হাসপাতালের মেডিসিন সপ হতে সেলাইনটি ক্রয় করে নিয়ে যান। হাসপাতালের নার্স লিমা সেলাইনটি পুশ করার সময় দেখতে পান সেলাইনের মেয়াদ ৪ মাস আগে শেষ হয়েছে।
অভিযোগকারী সাগরের আশংকা এর আগেও তাকে মেয়াদ উত্তীর্ণ সেলাইন দেওয়া হয়েছে,ফলে লিখন একাধিক বার বমি করে। এ ঘটনায় তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে রোগীর শরীরে দেওয়া পূর্বের সেলাইনের প্যাকেট গুলো দেখাতে বললে তারা অপারগতা প্রকাশ করেন।
বেসরকারী হাসপাতালে ব্যায়বহুল চিকিৎসা সেবা নিতে এসে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ প্রয়োগে মৃত্যু ঝুঁকিসহ রোগীর বমিজনিত সমস্যার আশংকা তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করে চিকিৎসা কার্যক্রমের সুষ্ঠ তদন্ত চেয়ে জেলা সিভিল সার্জনসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীর স্বজনেরা।